ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় HTML দিয়ে আমরা ওয়েবপেজের কাঠামো গঠন করি, কিন্তু সেই কাঠামোটি সুন্দর, আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তোলার জন্য CSS (Cascading Style Sheets) ব্যবহার করা হয়। CSS ওয়েব ডিজাইনের জাদুকর, যা আপনার ওয়েবপেজকে রঙিন, সুসংগঠিত এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে।
CSS কী?

উদাহরণ:
একটি সাধারণ HTML প্যারাগ্রাফকে সুন্দর করে তোলার জন্য CSS ব্যবহার করা যায় এভাবে:
অথবা, আলাদা একটি CSS ফাইল ব্যবহার করেও স্টাইল প্রয়োগ করা যায়।
CSS এর ধরণ
CSS তিনভাবে ব্যবহার করা যায়:
- Inline CSS: HTML ট্যাগের ভিতরে
style
অ্যাট্রিবিউট দিয়ে সরাসরি স্টাইল প্রয়োগ করা হয়।
- Internal CSS: HTML ডকুমেন্টের
<head>
সেকশনের মধ্যে<style>
ট্যাগ ব্যবহার করে লেখা হয়।
- External CSS: আলাদা একটি .css ফাইলে স্টাইল লিখে HTML ফাইলে লিঙ্ক করা হয়।
style.css:
CSS এর প্রধান বৈশিষ্ট্য
- রঙ (Colors): টেক্সট, ব্যাকগ্রাউন্ড, বর্ডার ইত্যাদির রঙ পরিবর্তন করা যায়।
- ফন্ট (Fonts): লেখার স্টাইল, আকার, ওজন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- লেআউট (Layout): পেজের বিভিন্ন উপাদানকে সঠিক স্থানে সাজানোর জন্য
margin
,padding
,display
,flexbox
,grid
ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
- রেসপনসিভ ডিজাইন (Responsive Design):
@media
কুয়েরি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটকে মোবাইল, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপে সুন্দরভাবে প্রদর্শন করা যায়।
CSS এর সুবিধা
- ডিজাইন ও লেআউট সহজ করা: HTML কে পরিচ্ছন্ন রেখে আলাদা ফাইলে স্টাইল সংরক্ষণ করা যায়।
- ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় করা: রঙ, ফন্ট, অ্যানিমেশন ইত্যাদি ব্যবহার করে চমৎকার ডিজাইন করা যায়।
- রেসপনসিভতা: বিভিন্ন ডিভাইসে সুন্দরভাবে প্রদর্শনের সুবিধা।
- পেজ লোডিং দ্রুত করা: কম কোডে সহজেই সুন্দর ডিজাইন করা যায়, যা লোড টাইম কমায়।
উপসংহার
CSS ওয়েব ডিজাইনের প্রাণ। এটি ছাড়া ওয়েবপেজ দেখতে নিরস এবং অসম্পূর্ণ মনে হবে। যদি আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান, তবে HTML-এর সাথে CSS শেখা অপরিহার্য। আপনার ওয়েবসাইটকে আরো সুন্দর, ব্যবহারকারী-বান্ধব ও ইন্টারঅ্যাকটিভ করে তুলতে CSS-এর জ্ঞান অবশ্যই কাজে আসবে।
আপনি কি CSS শেখা শুরু করতে আগ্রহী? নিচের কমেন্টে জানিয়ে দিন! 😊
0 Comments